Monday 12 September 2016

জেনে নিন ঈদুল আযহার সুন্নত সমুহ।

ঈদুল আযহার সুন্নত সমূহ :

ঈদুল আযহার দিনে সর্বমোট 14 টি সুন্নত।

1| খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উটা ।

2| ফজরের নামাজ মহল্লার মসজিদ এ পড়া।

3| মেসওয়াক করা ।

4| গোসল করা ।

5| শরীয়ত অনুমোদিত পোশাক পরিচ্ছেদ        পরিধান করা।

6| সাধ্যমতো উত্তম পোশাক পরিধান করা।

7| আতর ব্যবহার করা।

8| কোনোকিছু না খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং সর্বপ্রথম কুরবানীর গোস্ত হতে খাওয়া ।

9| ঈদের নামাজ (ওজর না থাকলে) মসজিদে না পড়ে ঈদের মাটে পড়া।

10| ওজর না থাকলে ঈদগাহে পায়ে হেটে যাওয়া ।

11| উচ্চস্বরে তাকবীর পড়তে পড়তে ঈদগাহে যাওয়া অতঃপর ঈদের মাটে পৌঁছে তাকবীর বন্ধ করা ।

12| এক রাস্তায় ঈদগাহে যাওয়া ও অন্য রাস্তায় প্রত্যাবর্তন করা।

13| সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া ।

14| ঈদুল আযহার নামাজ যথাসম্ভব সকাল সকাল ও ঈদুল ফিতর এর নামাজ দেরিতে পড়া ।

সবাইকে ঈদুল আযহার মোবারকবাদ।

Friday 9 September 2016

কুরবানির পশুর দুধ পান করা যাবে কি না।

কুরবানীর পশুর দুধ পান করা, কুরবানীর পশুর দুধ পান করা যাবে না। যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর কষ্ট হবে না বলে মনে হয় তাহলে দোহন করবে না। প্রয়োজনেওলানে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে দেবে। এতে দুধেরচাপ কমে যাবে। যদি দুধ দোহন করে ফেলে তাহলে তা সদকা করে দিতে হবে। নিজেপান করে থাকলে মূল্য সদকা করে দিবে। [মুসনাদেআহমদ ২/১৪৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৯, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১]

Wednesday 7 September 2016

বিকিনি পরা ছবি দেখলে কি করবেন?

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে নতুন একটি ভাইরাসের শিকার হচ্ছেন এর লাখ লাখ ব্যবহারকারী। জানা গেছে, সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরা নারীর ছবি দিয়ে বানানো একটি স্লাইড শো’র মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ফেসবুকে নতুন এই ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য জানিয়েছে সফটওয়্যার সিকিউরিটি ফার্ম ‘সোফোস’। খবর ফক্স নিউজের।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে ব্যবহারকারীর ওয়াল পেজের একটি ভিডিওচিত্রের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। বিজ্ঞাপনটিতে দেখানো হচ্ছে সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরা এক নারীর ছবি। এ ছবিতে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি অ্যাপ্লিকেশন পেজ খুলে যায়, যা ব্যবহারকারীকে একটি প্রয়োজনীয় ফাইল ডাউনলোড করতে বলে। আর এই ‘প্রয়োজনীয়’ ফাইলটির আদলের আসলে ডাউনলোড হয় ভাইরাস। পাশাপাশি, ভাইরাস এই বিজ্ঞাপনটিকে ব্যাবহারকারীর নামে তার সব ফেসবুক বন্ধুর ওয়াল পেজে পাঠিয়ে দেয়।
সোফোস-এর সিনিয়র টেকনোলজি কনসালটেন্ট গ্রাহাম ক্লুয়ি বলেছেন, ’প্রথমে খুব হাস্যকর মনে হলেও পুরো ব্যাপারটি কিন্তু মোটেও হাসির ব্যাপার নয়। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা তাদের বন্ধুর কাছ থেকে এ ধরনের চটকদার ও হাস্যরসাত্মক লিংক পেয়ে অভ্যস্ত, তারা হয়ত একবারো চিন্তা না করেই লিংকটিতে ক্লিক করবেন। কিন্তু এই ছোট্ট একটি ভূল সিদ্ধান্তই পুরো সাইটটি ও এর ব্যাবহারকারীর জন্য বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
সাইবার ক্রিমিনালদের এ আক্রমণ বেছে বেছে সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনেই ঘটে। সাইবার ক্রিমিনালদের উদ্দেশ্যে ক্লুয়ি বলেছেন, ’ওরা কি মনে করে ছুটির দিনে এ্যান্টি ভাইরাস গবেষক ও ফেসবুকের নিরাপত্তা বাহিনীর মানুষজন নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে কাটায়?’
উল্লেখ্য, এই ভাইরাস আক্রমণের শিকার ব্যবহারকারীদের তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ওয়াল পেজ থেকে বিজ্ঞাপনটি মুছে ফেলে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলার এবং পুরো কম্পিউটারটি একটি আপডেটেট এ্যান্টি ভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন ক্লুয়ি।
ধারণা করা হচ্ছে, এটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়া ‘সেক্সিয়েস্ট ভিডিও এভার’ প্রতারণারই একটি অংশ।ঐ ভিডিওর বিষয়ে আগেই জানতাম।কিন্তু ছবির স্লাইড শোর বিষয়ে জানতাম না।তাই খবরটি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে।প্রতিক্রিয়া জানাবেন।ধন্যবাদ।

Tuesday 6 September 2016

রোগাক্রান্ত ব্যাক্তিকে দেখতে যাওয়া সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রোগাক্রান্ত
ব্যাক্তি এবং তাদের দেখতে
যাওয়া সম্পর্কে কি বলেছেন
একটু জেনে নেইঃ
.
হজরত আলী (রাঃ) বলেন, আমি
রাসুল (সাঃ) কে এই এরশাদ
করতে শুনেছি, যে মুসলমান
কোন অসুস্থ মুসলমানকে
সকালে দেখতে যায়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত
৭০ হাজার ফেরেস্তা তার জন্য
দোয়া করতে থাকেন।
আর যে সন্ধায় দেখতে যায়
সকাল পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেস্তা
তার জন্য দোয়া করতে থাকেন এবং
জান্নাতে সে একটি বাগান পায়।
(তিরমিযি)
.
হজরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে
বর্ণিত আছে যে, রাসুল (সাঃ)
এরশাদ করেছেন, কোন মুসলমান
বান্দা অথবা বান্দি অনবরত
ভিতরগত জ্বর ও মাথা ব্যাথায়
আক্রান্ত হলে এইগুলি তার
গুনাহ এমনভাবে মিটিয়ে দেয় যে,
সরিষার দানা পরিমান গুনাহও
বাকী রাখেনা; যদিও তাদের
গুনাহ ওহুদ পাহাড়ের সমান হয়।
(আবু ইয়ালা, মাজমুয়ায়ে জাওয়েদ)
.
হজরত আবূ মূসা আশআরি
(রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেন, যখন বান্দা অসুস্থ হয়
অথবা সফরে থাকে, তখন তার
জন্য ঐ আমলের মতই (সওয়াব)
লেখা হয়, যা সে গৃহে থেকে সুস্থ
শরীরে সম্পাদন করত।’’
(বুখারি ২৯৯৬, আবু দাউদ ৩০৯১,
আহমদ ১৯১৮০, ১৯২৫৪)
.
অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া
ও কারও সাথে সাক্ষাৎ করা
কেবল আল্লাহর জন্য।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন:
“যে অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেল
অথবা তার কোন ভাইকে
দেখতে গেল আল্লাহ্র জন্য,
একজন আহ্বানকারী
(ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে)
তাকে আহ্বান করে বলবেন:
‘তোমার কল্যান হোক, কল্যান
হোক
তোমার পথের এবং জান্নাতে
তুমি একটি ঘর পাও”।
(তিরমিযী)
.
বিঃদ্রঃ এখানে ভাই বলতে
রক্তসম্পর্কের ভাইকে শুধু
বোঝানো হচ্ছে না, যে কোন
ব্যক্তি যে তার ভাইয়ের মতো
সেও এখানে প্রযোজ্য। আল্লাহর
জন্য ভাইয়ের সাক্ষাৎ করার
অর্থ হলো কোনও প্রয়োজন
ছাড়া কেবল এই কারণে ভাইয়ের
সাথে সাক্ষাৎ করা যে এটা
করলে আল্লাহ্ খুশি হন।