Tuesday 6 September 2016

রোগাক্রান্ত ব্যাক্তিকে দেখতে যাওয়া সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রোগাক্রান্ত
ব্যাক্তি এবং তাদের দেখতে
যাওয়া সম্পর্কে কি বলেছেন
একটু জেনে নেইঃ
.
হজরত আলী (রাঃ) বলেন, আমি
রাসুল (সাঃ) কে এই এরশাদ
করতে শুনেছি, যে মুসলমান
কোন অসুস্থ মুসলমানকে
সকালে দেখতে যায়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত
৭০ হাজার ফেরেস্তা তার জন্য
দোয়া করতে থাকেন।
আর যে সন্ধায় দেখতে যায়
সকাল পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেস্তা
তার জন্য দোয়া করতে থাকেন এবং
জান্নাতে সে একটি বাগান পায়।
(তিরমিযি)
.
হজরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে
বর্ণিত আছে যে, রাসুল (সাঃ)
এরশাদ করেছেন, কোন মুসলমান
বান্দা অথবা বান্দি অনবরত
ভিতরগত জ্বর ও মাথা ব্যাথায়
আক্রান্ত হলে এইগুলি তার
গুনাহ এমনভাবে মিটিয়ে দেয় যে,
সরিষার দানা পরিমান গুনাহও
বাকী রাখেনা; যদিও তাদের
গুনাহ ওহুদ পাহাড়ের সমান হয়।
(আবু ইয়ালা, মাজমুয়ায়ে জাওয়েদ)
.
হজরত আবূ মূসা আশআরি
(রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেন, যখন বান্দা অসুস্থ হয়
অথবা সফরে থাকে, তখন তার
জন্য ঐ আমলের মতই (সওয়াব)
লেখা হয়, যা সে গৃহে থেকে সুস্থ
শরীরে সম্পাদন করত।’’
(বুখারি ২৯৯৬, আবু দাউদ ৩০৯১,
আহমদ ১৯১৮০, ১৯২৫৪)
.
অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া
ও কারও সাথে সাক্ষাৎ করা
কেবল আল্লাহর জন্য।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন:
“যে অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেল
অথবা তার কোন ভাইকে
দেখতে গেল আল্লাহ্র জন্য,
একজন আহ্বানকারী
(ফেরেশতাদের পক্ষ থেকে)
তাকে আহ্বান করে বলবেন:
‘তোমার কল্যান হোক, কল্যান
হোক
তোমার পথের এবং জান্নাতে
তুমি একটি ঘর পাও”।
(তিরমিযী)
.
বিঃদ্রঃ এখানে ভাই বলতে
রক্তসম্পর্কের ভাইকে শুধু
বোঝানো হচ্ছে না, যে কোন
ব্যক্তি যে তার ভাইয়ের মতো
সেও এখানে প্রযোজ্য। আল্লাহর
জন্য ভাইয়ের সাক্ষাৎ করার
অর্থ হলো কোনও প্রয়োজন
ছাড়া কেবল এই কারণে ভাইয়ের
সাথে সাক্ষাৎ করা যে এটা
করলে আল্লাহ্ খুশি হন।

No comments:

Post a Comment